স্টাফ রিপোর্টার ॥ পিরোজপুরের নেছারাবাদের ছারছিনা দরবার শরিফে মাহফিল শুনে সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। শনিবার রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর কাশিপুরে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে তাদের বহনকারী মাহিন্দ্রাটির সাথে যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহিন্দ্রা যাত্রী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মো. জাফরের ছেলে মো. হামজা (১১) এবং একই এলাকার আকতারুজ্জামান হাফিজের ছেলে আল নোমান (১৩)। তারা উভয়ে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া এলাকার তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। আহত হয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আকতারুজ্জামান হাফিজ, তার বড় ছেলে মাদরাসাছাত্র আইমান (১৬), একই এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে মাদরাসাছাত্র বাইজিদ (১২), বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকার মো. রিপনের ছেলে মাদরাসাছাত্র মো. জিহাদুল (১২) আহত হয়। এছাড়া মো. লতিফ ও জিয়াউর রহমান রুবেল নামে আরও দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বরিশালসকে বলেন, নিহত ও আহত শিশুরা নগরীর কাউনিয়া এলাকার তাহফিজুল কোরআন মাদরাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র। ওই মাদরাসার শিক্ষক আকতারুজ্জামান হাফিজ। গতকাল আকতারুজ্জামান হাফিজ তার দুই ছেলেসহ ৫ ছাত্রকে নিয়ে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ছারছিনা দরবার শরিফে মাহফিলে যান। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহফিল থেকে বানারীপাড়া হয়ে তারা থ্রি-হুইলারে করে বরিশাল নগরীতে ফিরছিলেন। তিনি জানান, ওই থ্রি-হুইলারে তারা ছাড়া আরও দুই জন যাত্রী ছিলেন। কাশিপুর মদিনা পেট্রল পাম্প সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকালে তাদের থ্রি-হুইলারের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা রাজধানী ঢাকাগামী সাকুরা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে থ্রি-হুইলারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত হয় থ্রিহুইলারের সাত যাত্রী। পথচারীরা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক মাসুম রেজা জানান, আহত থ্রি-হুইলারের সাত যাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পর রাত পৌনে ১১টার দিকে মাদরাসাছাত্র হামজার মৃত্যু হয়। এর দেড় ঘণ্টা পর রাত সোয়া ১২টার দিকে আল নোমান নামে আরেক ছাত্রের মৃত্যু হয়। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি থ্রি-হুইলারের যাত্রী মো. লতিফের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দেওয়ার পর দ্রুতবেগে বাসটি নিয়ে পালিয়ে যান চালক ও হেলপার। বাসটি শনাক্ত ও চালককে গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
Leave a Reply